অভিজিতের জন্যই স্টার শাহরুখ!
বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের বাদশাহ বলা হয় শাহরুখ খানকে। কিং খান এবং কিং অব রোমান্স নামেও তিনি সুপরিচিত। এসব তকমা তিনি গায়ে লাগিয়েছেন নিজের অভিনয় কারিশমা দিয়েই। ভক্তরাই ভালোবেসে তাদের প্রিয় তারকাকে এসব নামে ডেকে থাকেন। সেই শাহরুখ খানকেই নিয়েই কিনা বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্য।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের আয়োজিত একটি আলোচনা সভায় অংশ নেন অভিজিৎ। সেখানে তিনি দাবি করেন, তার জন্যই নাকি সুপারস্টার হতে পেরেছিলেন শাহরুখ খান। তিনি গান গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বলেই বর্তমানে মুখ থুবড়ে পড়েছে শাহরুখ খানের ক্যারিয়ার।
কিং খানকে কটাক্ষ করে অভিজিৎ বলেন, ‘আমার গলায় অনেক সুপারস্টার তৈরি হয়েছে। শাহরুখও আমার জন্যই সুপারস্টার। যত দিন তার জন্য গান গেয়েছি, ততদিন তিনি রকস্টার ছিলেন। যেই বন্ধ করে দিয়েছি তারপর থেকেই উনার পতন ঘটেছে। এতটাই পতন ঘটেছে যে আজ লুঙ্গি ডান্সে এসে পৌঁছেছেন।’
গায়কের দাবি, কেউ তাকে বাদ দেননি, বরং সামান্য একটা কারণে তিনি নিজেই শাহরুখ খানের হয়ে গান গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। অভিজিতের অভিযোগ, ‘ম্যায় হুঁ না’ ছবির শেষ দৃশ্যে স্পট বয় থেকে শুরু করে সকলকে দেখানো হয়েছিল। বাদ পড়েছিল শুধু গায়করা। ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিতেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।’
‘সবাই আমার গাওয়া ‘ধুম তানা’ গানটা গাইছিল। কিন্তু কোথাও আমার নাম উল্লেখ পর্যন্ত করা হয়নি। ওই ঘটনায় আমার আত্মসম্মানে আঘাত লেগেছিল। আমি যেচে কেন আমার নাম যোগ করতে বলব। আমার মধ্যে তো কোনও খামতি নেই। তাহলে আমি ওদের সামনে হাত পাতব কেন?’
বেফাঁস মন্তব্য করে এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন অভিজিৎ। ২০১৬ সালে পাকিস্তানি অভিনেতাদের ভারতে কাজ করা নিয়ে আপত্তি তোলে কিছু রাজনৈতিক দল। তার জেরে বিপাকে পড়েন পরিচালক করণ জোহার। কারণ ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ছবিতে দুই পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান ও ইমরান আব্বাসকে নিয়ে কাজ করেছিলেন তিনি।
সেই সময় গোটা বলিউড করণের পাশে দাঁড়ালেও, বিপক্ষে দাঁড়ান শুধু অভিজিৎ। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রযোজক ও পরিচালক করণ জোহারকে তিনি সমকামি উল্লেখ করে বিদ্রুপ করেন। ছেড়ে কথা বলেননি শাহরুখ, সালমান এবং আমির খানকেও। তাদেরকে নির্লজ্জ, পাকিস্তানি দালাল বলে তোপ দেগেছিলেন।
তারও আগে সালমান খানের পক্ষে মন্তব্য করে বিতর্কিত হন অভিজিৎ। ২০১৫ সালে সালমানের গাড়ি চাপা মামলার শুনানি চলাকালীন তিনি বলেছিলেন, ‘কুকুর রাস্তায় ঘুমালে তো মরবেই। গরিব বলে কি রাস্তা তাদের বাবার সম্পত্তি! একসময় আমারও ঘর বাড়ি ছিল না। কিন্তু কখনও রাস্তায় ঘুমাইনি।’ প্রায় সব মহল থেকেই তার এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা হয়েছিল।