৩০ ডিসেম্বর আমাদের নার্ভের লড়াই: মান্না
নিজস্ব প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাধা দিতে সরকার সব বাহিনীকে টাকা দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। ৩০ ডিসেম্বরকে নার্ভের লড়াই উল্লেখ করে এ লড়াইয়ে জিততেই হবে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও পেশাজীবীদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ ও মন্তব্য করেন।
এ সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের ড. কামাল হোসেন বলেন, তথাকথিত একটা নির্বাচন হয়েছিল ২০১৪ সালে, তখন বলা হয়েছিল দ্রুতই আরেকটা নির্বাচন হবে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি। এখন বাংলাদেশের অভিধানে দ্রুত শব্দের মানে পাল্টে ৫ বছর করা দরকার। জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্র এখন আর নেই।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মান্না বলেন, দেশে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী নেমেছে। কিন্তু কেউ কি নিশ্চয়তা দিতে পারবেন, সেদিন (৩০ ডিসেম্বর) ভোটারদের বাধা দেয়া হবে না। বরং ভোটে বাধা দেয়ার জন্য বাহিনীগুলোকে কোটি কোটি টাকা ঘুষ দিচ্ছে সরকার। তাদের কিনে নেয়ার চেষ্টা করছে তারা।
তিনি বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর আমাদের নার্ভের লড়াই। এ লড়াইয়ে আমাদের জিততেই হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে যত বাধাই আসুক, নির্বাচন নামক ওই লড়াই আমাদের বুদ্ধির লড়াই, গণতন্ত্রের রক্ষার লড়াই।
‘মানুষ সরকারের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে কারো ওপর ভরসা করতে চায়। দেশ আজ এক ঘোর অমানিশার মধ্যে নিপতিত। জনগণ এই স্বৈরাচারের পতন দেখতে চায়’ বলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠিক সম্পাদক।