সুনামগঞ্জে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যার পানি
এম জে মুশতাক সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জে বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই নতুন করে আবারও দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে পড়তে যাচ্ছে উপজেলাবাসী। পানি বাড়ছে থাকায় দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নতুন করে ডুবছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
একদিকে চলমান করোনা পরিস্থিতি অন্যদিকে বন্যা এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জে আবারও বন্যার শংকা দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে নতুন করে প্লাবিত হয়ে পড়ছে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো। গত এক সপ্তাহ ধরে নদ-নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নিচে নামলেও গতকাল থেকে নতুন করে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। অনেক এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক আবারো পানিতে ডুবে যাচ্ছে। ডুবছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অনেক এলাকার মানুষদের রাস্তায় উপর নৌকা দিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। গবাদিপশু নিয়ে মারাত্মক সমস্যা পড়েছেন অনেকে।
উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের কামরুপদলং গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার ঘরে পানি নেমে গিয়েছিল, কিন্তু বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে আবারও ঘরে পানি ঢুকে গেছে। খুব কষ্টে আছি আমরা,আফরাজ নামের আরেকজন বলেন, পানি আমার বাড়ি উঠোনে। পানিবৃদ্ধি চলমান থাকলে আবারও ঘরে পানি ঢুকে যাবে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নুর হোসেন বলেন,বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখে খোঁজ খবর নিচ্ছি। সরকারি বরাদ্দকৃত ত্রাণ তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার শাম্মী বলেন, উপজেলার বন্যার্তদের খোঁজ খবর রাখছি,সরকারি ত্রাণ বন্যার্তদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেয়া হচ্ছে, ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়া মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।