মুসলেখা নিয়েও বন্ধ হয়নি সরকারী দীঘি থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব
মোঃ আব্দুর রহিম বাবলু : গত কয়েক দিন যাবত জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন টিভি সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও বন্ধ হয়নি কুমিল্লাার নাঙ্গলকোট উপজেলা পৌরসদরের প্রায় দু’শ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী গোত্রশাল সরকারী দীঘি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন মহোৎসব ।অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ওই দীঘি থেকে বালু উত্তোলন করছেন একটি প্রভাবশালী মহল। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল সড়ক এবং কুমিল্লা জাঙ্গালিয়া থেকে ৩৩ হাজার ক্ষমতা সম্পন্ন ফেনী গ্রীডে সংযুক্ত বিদ্যুৎ লাইন।প্রশাসনের এমন নীরব ভূমিকায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।ওই দীঘিটির বুক চিরে ১৮৩৯ সালে ঢাকা-চট্টগ্রামের নির্ভরযোগ্য একমাত্র রেল সড়কটি নির্মিত হয়। ওই রেল পথের পাশ ঘেঁষে দিঘীর পূর্বাংশে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে প্রায় একমাস ধরে বালু তোলা হচ্ছে। সেসব বালু পাশের গোত্রশাল, নাঙ্গলকোট, তুলাপুকুরিয়াসহ কয়েকটি গ্রামে বিক্রি করা হচ্ছে। দিঘী থেকে বালু তোলার ফলে চরম ঝঁকির মুখে ধপড়েছে দেশের নির্ভরযোগ্য এ রেলপথ এবং কুমিল্লা জাঙ্গালিয়া থেকে ৩৩ হাজার ক্ষমতা সম্পন্ন ফেনী গ্রীডে সংযুক্ত বিদ্যুৎ লাইনটি।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সোহেল রানা গত ১২ জানুয়ারী শনিবার বলেন, আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি। তাদের কাছ থেকে মুসলেখা নিয়েছি, দুই একদিনের মধ্যে তা সরিয়ে পেলবে। না সরালে জব্দ করা হবে। এর আগে গত৫ জানুয়ারী শনিবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন,বিষয় টি আমি অবগত হয়েছি, শ্রীগ্রই ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।আজ ১৫ জানুয়ারী তিনি প্রতিবেদককে বলেন – আমার জানামতে তারা মিশিন বন্ধ করেছে, এখন বালু উত্তোলন হচ্ছেনা।আর আপনি অফিসে আসেন আপনার সাথে সাক্ষাতে কথা হবে।
কিন্তু আজ ১৫ জানুয়ারী ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় এখনো বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে।