নাঙ্গলকোটে সহযোগী ডাকাতের গুলিতে ডাকাত নিহত
বাহার ভূঁইয়াঃ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সহযোগী ডাকাতের গুলিতে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। এসময় দুই গৃহকর্তা গুলিবিদ্ধসহ ৪ জন আহত হয়। সোমবার ভোরে উপজেলার গোমকোট গ্রামের নিশি বাবুর বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ডাকাতের নাম দেলোয়ার হোসেন (২৮)। সে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন, ওই গ্রামের মৃত প্রফুল্ল দেবনাথের ছেলে গৃহকর্তা বিধান চন্দ্র দেব নাথ, রিখান চন্দ্র দেব নাথ, পুলিন চন্দ্র দেবনাথ ও নূর মোহাম্মদের ছেলে আব্দুর রহিম।
পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের নিশি বাবুর বাড়ীতে রোববার মধ্যরাতে একদল ডাকাত হানা দেয়। এ সময় ডাকাত দল পরিবারের সবাইকে হাত পা বেধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঘরে থাকা ১৯ ভরি স্বর্ণ, নগদ ৯০ হাজার টাকা, একটি ল্যাপটপ,২ টি মোবাইল ও ৩টি টর্চ লাইট নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ঘরে থাকা ৩ জনকে ঘরের বাহিরে এনে ২ জনকে গুলি করে ও একজনকে মারধর করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পাশের বাড়ীর নূর আহম্মদের ছেলে আব্দুর রহিম টের পেয়ে বাহিরে এলে তাকেও তার মাথায় আঘাত করে ডাকাতরা। এসময় রহীম ও তার পরিবারের লোকজন চিৎকারে এলাকাবাসী ডাকাতদের ঘিরে ফেলে এবং ডাকাত দলের সদস্য দেলোয়ারকে আটক করলে অপর ডাকাতরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাকাত দেলোয়ারের মৃত্যু হয়। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় একনলা একটি বন্ধুক উদ্ধার করে। এদিকে, গুলিবিদ্ধ ২ জনের অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, উপজেলার গোমকোট গ্রামে গভীর রাতে এক বাড়ীতে ডাকাতের হানার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ পাঠিয়েছি। এরআগে স্থানীয়রা ১ ডাকাতকে আটক করলে অপর ডাকাতরা তাকেসহ পরিবারের লোকজনের উপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। এতে ওই পরিবারের ২ সদস্যসহ ১ ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ ডাকাত মারা যায়। এ ঘটনার সাথে জড়িত অপর ডাকাতদের গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। নিহত ডাকাত দেলোয়ারের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
ঘটনার পর দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মো. আবিদ হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।