জামালগঞ্জে টানা বর্ষণে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে ৬৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। অপরদিকে বর্ষা মৌসুমে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বন্যার জন্য স্থগিত করা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় সাময়িক পরীক্ষা। হালির হাওর ও পাকনার হাওরের প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে কান্দার হাটি চানপুর, নয়হালট, সোনাপুর, ইউসুফ নগর, গুচ্ছগ্রাম, কাশিপুর কালাগুজা, ভাটিলালপুর, সংবাদপুর, উলুকান্দি, মদনাকান্দি, হরিনাকান্দি, আছানপুর, মাহমুদপুর, হঠামারা, পশ্চিম ফেনারবাঁক, রাজেন্দ্রপুর, আরো বিভিন্ন গ্রামে অনেক ঘর বাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা যাওয়া আসা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উপজেলার জামালগঞ্জ সদর, ভীমখালী, সাচনা বাজার, ফেনারবাক, ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে রোপা আমন বীজতলা, আউশ ধান ও শাকসবজি তলিয়ে গেছে। উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃ দঃ) মনিরুল হাসান বলেন জামালগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, গতকাল বিকাল ৩টায় ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের নিয়ে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষতিগ্রস্থদের স্থানীয় ভাবে দেখা শুনা চলছে। চেয়ারম্যানদের সার্বিক পরিস্থিতির খোজ খবর রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল মাহমুদ তালুকদার (সাজিব) বলেন, আজ আমার ইউনিয়নের ওয়ার্ড সদস্য আনোয়ার হোসেন, আশিকনুর, শহিদুল ইসলাম (সুহেল), আঃ রহমান, হাবিবুর রহমানসহ মহিলা সদস্য জমিলা খাতুন ও উদ্যোক্তা হুমায়ুন নৌকা যোগে পানিবন্দী ও ক্ষতিগ্রস্থদের খোজ খবর নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক ওয়ার্ড ইউপি সদস্যদের দূর্যোগাক্রান্তদের জরুরি ভিত্তিতে তালিকা করার নিদের্শনা দিয়েছি। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (অঃ দঃ) আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন উপজেলায় প্রায় ৮ টি স্কুলে বন্যার পানি ঢুকে যায় ও স্কুলের সংযোগ রাস্তা ডুবে যায় যার কারনে জামালগঞ্জে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চলমান ২য় সাময়িক পরিক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে জানা যায় জামালগঞ্জ সদর ৬০, ফেনারবাঁক ৫০, উত্তর ৪১, অন্যান্য সহ প্রায় ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। উপজেলার ৬৫ হাজার মানুষ পানি বন্দী অবস্থায় রয়েছে। বন্যায় বিভিন্ন গ্রামে কাঁচা ঘরবাড়ীর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ জানান। বন্যা কবলিত জনসাধারণের সহায়তা প্রদানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট ত্রাণ সহায়তার জন্য আহবান করা হয়। তবে এ পর্যন্ত সরকারি কোন ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি।