www.comillabd.com কুমিল্লাবিডি ডট কম

সত্য সন্ধানে আপোসহীন

আন্তর্জাতিকজাতীয়

কৃষিজমি নষ্ট করে ইটভাটা ও শিল্প নয় : গণপূর্তমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ‘কৃষিজমি নষ্ট করে ইটভাটা, শিল্পকারখানা স্থাপন ও বাড়িঘর নির্মাণ করা যাবে না। এজন্য সরকার নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এ আইন প্রণয়ন হলে জমির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে।’

শনিবার রাজধানীত পোড়া ইটের বিকল্প বিষয়ে সহায়ক নীতিনির্ধারণে করণীয় শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

মন্ত্রী বলেন, ইট তৈরি করতে গিয়ে ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের মাটি নষ্ট করে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে এবং উৎপাদন কমে আসছে। দেশ ভবিষ্যতে খাদ্যসংকটে পড়বে। কৃষিজমি রক্ষায় সরকার ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন করেছে। সংশোধিত এ বিধিমালায় পোড়া ইটের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। নির্মাণকাজে পোড়া ইটের ব্যবহার ২০২০ সালের মধ্যে বন্ধ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। লক্ষ্য অর্জনে সকলকে সচেতন হতে হবে। পোড়া ইটের বিকল্প হিসেবে এইচবিআরআই স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লক উদ্ভাবন করা হয়েছে। পোড়া ইটের চেয়ে এ ব্লক অধিক সাশ্রয়ী ও টেকসই।

তিনি বলেন, সরকার কৃষিজমি সুরক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে। মিরসরাইয়ে দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে কোনা কৃষিজমি নেওয়া বা নষ্ট করা হয়নি। অথচ মিরসরাই এলাকায় অনেক বড় বড় শিল্পমালিকরা কৃষিজমি কিনে শিল্প স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। সেগুলোতে শিল্প স্থাপনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কারণ, কৃষিজমি সুরক্ষা করতে এবং এ কাজে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লকের ব্যবহারকে জনিপ্রিয় করে তোলার আহ্বান জানান গণপূর্তমন্ত্রী।

জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্ব সেমিনারে অংশ নেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, বুয়েটের গ্রিন আর্কিটেকচার সেলের সমন্বয়ক ড. মো. আশিকুর রহমান জোয়ার্দার, এইচবিআরআইর পরিচালক মোহাম্মদ শামীম আখতার, অক্সফাম ইন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর এম বি আখতার প্রমুখ।

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘প্রোমোটিং সাসটেইনেবল বিল্ডিং ইন বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইচএশিয়া, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এইচবিআরআই), বেলা, জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন ও অক্সফাম বাংলাদেশ সেমিনার আয়োজনে সহযোগিতা করে।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে আয়োজক সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি ছাড়াও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, রাজউকসহ বিভিন্ন সরকারি-সেবরকারি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!