১৫ আগস্টে পরিকল্পিতভাবে হত্যাযজ্ঞ হয় : মতিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের, যারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর বাঙালি জাতিকে সংগঠিত করতে পারে তাদেরকে নির্মূল করা। সেজন্যই ১৫ আগস্টে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করা হয়।মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনভিত্তিক সংবাদচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।মতিয়া চৌধুরী বলেন, ১৫ আগস্টে নৃশংস, উন্মাদ কর্মকাণ্ড, পৈশাচিকতা, অমানবিক হত্যা পৃথিবীর ইতিহাসে আর কয়টি ঘটেছে বলা মুশকিল? সেদিন নারী-শিশুসহ সবাইকে হত্যা করেছিল। শুধু ধানমন্ডির-৩২ নম্বরের এই বাড়িতেই নয় আরো তিনটি বাড়িতে এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।বঙ্গবন্ধু হত্যার পরের দিন ১৬ আগস্ট পাকিস্তানি ডন পত্রিকার শিরোনামের প্রসঙ্গ তুলে মতিয়া চৌধুরী বলেন, হ্যাঁ, তারা বাঙালি কিন্তু তারা পাকিস্তানীদের এজেন্ট ও অনুচর ছিল। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের ভেতরে প্লান্ডেড হিসেবে ছিল। যাদেরকে অনুপ্রবেশকারী বলা হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।মতিয়া চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে যারা মানতে পারেনি পৃথিবীর মানচিত্রে, সেই শক্তিরা একত্রিত হয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে।বঙ্গবন্ধু হত্যার পর নিজের মানসিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। আজকে এটি দিবালোকের মতো পরিষ্কার। এই হত্যাকাণ্ডের ফলে আমাদেরকে দীর্ঘসময় মাশুল দিতে হয়েছে।তিনি বলেন, আমাদের কর্ম, চিন্তা, চেতনা ও কল্পনায়, যেই আমরা বঙ্গবন্ধুকে চিন্তা করি তখন মনে হয়, আমরা জলাধার। আর বঙ্গবন্ধু হলেন আকাশ। এই আকাশকে আমরা ছুঁতে পারি না। কিন্তু আকাশের দিকে তাকাতে পারি। আকাশের এই বিশালতা, উদারতার ক্ষমতা আজকের যুবসমাজকে ধারণ করতে হবে। যুবলীগের নেতাকে ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু অনাদিকাল আমাদের মাঝে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ১৫ আগস্টের ঘাতকেরা এখনো সক্রিয়। বিএনপি ষড়যন্ত্রে মেতে আছে। এখন বেগম জিয়া লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছে। আবার তারা বাংলাদেশকে নেতাশূন্য করতে চায়। আবার তারা বাংলাদেশকে আরেকটা পাকিস্তান বানাতে চায়।যুবলীগ চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম, আতাউর রহমান আতা, শিল্পী মমতাজ বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, দপ্তর সম্পাদক আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, যুবলীগ উত্তরের সভাপতি মাঈনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।