চুয়াডাঙ্গায় কৃষাণী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তারা: গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে সার লাগে কম, ফলন হয় বেশি
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : ‘জমিতে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার করলে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ সার কম লাগে। অথচ, ফলন বেশি হয় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। এই হিসেবে উৎপাদন খরচ কম হয়, ফলন হয় বেশি। দুদিকেই লাভ কৃষকের। কৃষক সচেতন হলে লাভ যাবে কৃষকেরই ঘরে।’
এসব কথা বলেছেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গার বেলগাছি গ্রামের মাঠে অনুষ্ঠিত কৃষাণী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বক্তব্যদানকালে কৃষি কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন। কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিনিয়ত চাষাবাদে আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহার বাড়ছে। কৃষকরাও হয়েছেন সচেতন। এখন তারা দেখে-বুঝে উন্নত বীজ ও চারা কিনছেন। সারিবদ্ধভাবে রোপন করছেন চারা। সুসম সার ব্যবহার করছেন। সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপন পদ্ধতি ও গুটি ইউরিয়া ব্যবহার করছেন। এসব ব্যাপারে সচেতন হয়ে কৃষক হয়েছেন লাভবান।
ওয়ালমার্ট ফাউন্ডেশনের সবজি উৎপাদনশীলতা উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ (এভিপিআই) প্রকল্পের আওতায় আন্তর্জাতিক সার উন্নয়ন কেন্দ্র (আইএফডিসি) চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের মাঠে বুধ ও বৃহস্পতিবার দুদিনের কৃষাণী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে। বুধবার শুরু হওয়া এ কর্মসূচি শেষ হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে। দুদিনের এ কর্মশালায় এলাকার ৪০ জন কৃষাণী ও কৃষক অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় শাক-সবজি ও ফলমুলের আবাদে পলিনেট ও ট্রিকল ব্যবহার এবং নারীদের ক্ষমতায়ন নিয়েও আলোচনা করা হয়।
কর্মশালার প্রথম দিনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কৃষাণীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দ্বিতীয় দিন মাঠে হাতে-কলমে চাষাবাদে কৃষকের লাভ-লোকসান বোঝানো হয়। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম হাসিবুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইএফডিসির ফিল্ড মনিটরিং অফিসার আলমগীর রশিদ ও উপ-সহকারি কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম। আন্তর্জাতিক সার উন্নয়ন কেন্দ্র (আইএফডিসি) এ কর্মশালার আয়োজন করে। সহযোগিতা করে চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
কর্মসূচির শেষ দিনে গুটি ইউরিয়া ব্যতিত চাষাবাদ এবং গুটি ইউরিয়া ব্যবহার করে চাষাবাদের ফলন পার্থক্য কৃষাণীদের দেখানো হয়। কৃষাণীরা বলেন, গুটি ইউরিয়া ব্যবহারে সার কম দিতে হয়েছে। ফলে কৃষকের খরচ কমেছে। অন্যদিকে ফলন হয়েছে বেশি। ফলে, গুটি ইউরিয়া ব্যবহার করে কৃষক দুভাবে লাভবান হয়েছেন।