কুমিল্লা লাকসামে স্কুলছাত্রীর চিকিৎসায় ২০ লাখ টাকা অনুদানকারীকে সৌদিতে সংবর্ধনা
নিজস্ব প্রতিবেদক :
লাকসামে স্কুলছাত্রীর চিকিৎসায় ২০ লাখ টাকা অনুদানকারী আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান সুমনকে বৃহত্তর কুমিল্লা মক্কা প্রবাসী ফোরামের পক্ষ থেকে মজিবুল হক মজিব এর উদ্যোগে ফুল দিয়ে অভিনন্দন ও সংবর্ধনা জানানো হয়। গত বৃহস্পতিবার মালেক আল্ তাকওয়া, হাইরুদা মক্কা আল মোকাররামায় তাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফোরামে সদস্য মোঃ মনির হোসেন শিমুল ও মোঃ তাজুল ইসলাম। আলহাজ্ব মো: মিজানুর রহমান (সুমন) কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ উপজেলার মৃত আবুল হোসেন ও মাতা মোসা: গোলাফজানের চার মেয়ে ও তিন ছেলের মধ্যে সে মেজো ছেলে। সে সামাজিক কর্মকান্ডে ও গরীব অসহায়দের জন্য একজন নিবেদিত প্রাণ। মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসা মিজানুর রহমান সুমনকে নিয়ে বৃহত্তর কুমিল্লা মক্কা প্রবাসী ফোরাম সৌদিসহ দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছেন ইতিমধ্যে।
উল্ল্যেখ্য যে, লাকসামে স্কুলছাত্রী সাফা’র চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে চিকিৎসার পুরো ২০ লাখ টাকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন।জানা যায়, স্থানীয় একটি পত্রিকায় ‘কাতার প্রবাসী লাকসামের অসহায় এক পিতার করুণ আকুতি! সাফাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে সাফা’র দু’টি কিডনিই অকেজো উল্লেখ করে তাকে বাচাঁতে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সংবাদ প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর চিকিৎসার পুরো ২০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন সৌদি আরব প্রবাসী বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান সুমন। মহৎ প্রাণ ওই প্রবাসীর বাড়ি কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি সৌদি আরবের মক্কা মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
সাম্প্রতিক তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মসজিদ-মাদ্রাসায় ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা অনুদান দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। তিনি মানবিক সেবায় বরাবরাই দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন বলে জানা গেছে। নিজের জন্য দোয়া চেয়ে সৌদি আরব প্রবাসী মিজানুর রহমান সুমন বলেন, আমি সাফা’র চিকিৎসার পুরো দায়িত্ব নিলাম। তার চিকিৎসার জন্য পুরো ২০ লাখ টাকাই আমি দিব ইনশাআল্লাহ। তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত তাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।উল্ল্যেখ্য যে, লাকসাম পৌরসভার আল আমিন ইন্সটিটিউটের নবম শ্রেণীর ছাত্রী সাফা’র দু’টি কিডনিই অকেজো। সে লাকসাম উপজেলার রেল ষ্টেশন চিতোসী গ্রামের কাতার প্রবাসী সোলায়মান আলীর মেয়ে।